"Vanderloost -Speak Your Heart Out" is a vagrant and bizarre conglomerate of consequential and inconsequential moments, transient and stagnant thoughts, fickle and rigid perceptions, forgettable and not so forgettable anecdotes and experiences, day to day trivia, cornucopia of hard hitting realities and pristine imageries and most importantly people whom I think I know , whom I'd like to know and whom I do not want to know.
Friday, October 07, 2022
ভাগ্যিস !!
Friday, September 16, 2022
মুষিক পুরাণ
আমাদের নিচের তলার ফ্ল্যাট। তাই প্রায়ই বাড়িতে ছোট বড় নানান সাইজের ইঁদুর ঢুকে পড়ে। খেলাধুলা করে। নাচানাচি করে। আমার পোষ্যটি দার্শনিকের মতন তাকিয়ে তাদের নাচাকোদা, ছোটাছুটি দেখে ফোত করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। ল্যাও ঠ্যালা।
ফ্ল্যাটের সামনেই পার্ক। সেই পার্কে আবার বিশাল বড় বড় সাইজের ইঁদুর, যাদেরকে ইংরেজিতে রোডেন্ট বলে, লাফিয়ে বেড়ায়। ব্যালকনিতে রাত্রে তাদের ডাকাডাকি, হুড়োহুড়ি শোনা যায়। চিকার দল ও আছে। তাদের কথোপকথন কানে আসে। এদের মধ্যে কোনটি যে গাড়ির মধ্যে ঢুকে তার কাটে, পাইপ কাটে বলা মুশকিল। তবে এ ঝঞ্ঝাট ও আমাকে একাধিকবার পোয়াতে হয়েছে।
মুষিকের আগমনে ইঁদুর কল, আঠা দেওয়া বই যাতে ইঁদুর চিপকে যেতে পারে ইত্যাদির ব্যবস্থা বাড়ির ভিতর রাখা অনিবার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু এত সব ব্যবস্থা সত্বেও এবার যাঁর চরণ ধুলি আমাদের বাটিতে পড়েছে সে যে মহা ধুরন্ধর তা বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে। ইঁদুর কলে ঘী দেওয়া রুটি থেকে মাংসের টুকরো দিব্যি সে আত্মসাৎ করে আমাদের কলা দেখিয়ে আশেপাশে ল্যাজ উঠিয়ে নির্লজ্জের মতন খেলে বেড়াচ্ছে। দেখে গা জ্বলে যাচ্ছে। অথচ কিচ্ছুটি করার উপায় নেই কারণ আমার "সক্রেটিস" পোষ্য নির্বিকার চিত্তে তাঁকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। একবারও থাবা উঠিয়ে শাসানো তো দূরের কথা ভৌ ভৌ পর্যন্ত করছে না।
শেষ পর্যন্ত আঠা লাগানো বইটিই কাজে এলো। ঘুরন্ত জামাই ( মহিলা কিনা জানিনা তবে জামাই আদরে বাঁদর হয়ে যাচ্ছে তাই জন্যে আর কি...) শেষে আঠা যুক্ত বইয়ে ধরা পড়লো। তাঁর শেষ সৎকার মানে তাঁকে বই থেকে ঝেড়ে পার্কে ফেলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হলাম। তবে আঠা মুক্ত হয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা খুব একটা সুখকর ছিল না। প্রায় নির্জীবই বলা চলে। দুর্ভাগ্য বসত: এক জোড়া কুকুর তাঁর পিছন নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ইন্দুরটির কী দশা হয়েছিল বলতে পারবো না।
তবে তাঁর দুর্বল শরীর দেখে কষ্ট হচ্ছিল। যাইহোক জীব তো ! আর জীব হত্যা মহাপাপ। মানুষের জীবনের এটাই সবচেয়ে বড় contradiction। যা সে পায় না বা যতক্ষণ পায় না ততক্ষণ সে ছটফট করে নানা বিধ উপায় খোঁজে তাকে পাওয়ার - তা সে কোনো প্রাপ্তি হোক বা বিপদ থেকে মুক্তি হোক। কিন্তু সফলকাম হয়েও সন্তুষ্টি থেকে সে ক্রোশ দূরে থাকে হয় আরো পাওয়ার লোভে বা পেয়েও অশান্ত চিত্ত হয়ে আর বিবেকের তাড়নায় ছটফটিয়ে।
আশা করি একটি মুষিকের শেষ কৃত্যের ভাগী হয়ে আমি যেই দর্শন লাভ করেছি তদ্দারা আপনারা যথাযথ অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ বোধ করবেন।
আচ্ছা রাখি তাহলে ..
Tuesday, September 06, 2022
মণি মাসির সোলো ট্র্যাভেল
Monday, July 18, 2022
ভগাদার সিগন্যাল
আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে ভগাদা রাইট টাইমে আমাগো সিগন্যাল দ্যান। যেমন এখন সময় আইসা গেসে এবারে এইটা করতেই হইবো। আর ফাঁকি মারনের জো নাই। উদাহরণ দিয়া বুঝাইতাসি মন দিয়া শোনেন থুড়ি পড়েন। এই উদাহরণগুলা স্ট্রেট-ফ্রম-লাইফ তাই গুল মারতাসি ভাইবলে আপনাগোই ক্ষতি।
ঘটনা হইলো এইরূপ :
শনিবারে আরবান ক্ল্যাপ থিকা ডাকছিলাম একটি মাইয়ারে । ওই আরকি একটু নিজেকে পরিষ্কার -টোরিস্কার করবো বইল্যা । মাইয়াটা আগে কখনো আমার বাসায় আসে নাই.. আমারে দেইখ্যা কয় আপনে তো তিরিশের কোঠায় হবেন। শোনেন মাইয়ার কথা। আমি তাচ্ছিল্যের হাঁসি হাইস্যা কইলাম আগামী বছর আমি সাইটের ঘরে পাদিমু। আরে ওই পাদ নয়। ..আপনেও যেমন। ...অন্য পা। শুইন্না মাইয়া থ। হুঁ হুঁ ...
তার পরে বলি শোনেন :
রবিবারে পায়ের ব্যাথাটা বড্ডো বার বাড়ছিলো। আমাগো বাসার পিছনে একটি স্পা খুলসে । আমার বোনপোর বৌডা কৈল মাসি ভালো কইরা আপনে গিয়া হাঁটুর মাসাজ কইরা আসেন। আমিও ছুট দিলাম। একতলায় স্পা। বারান্দায় একটি চীনা মাইয়া দাঁড়াইয়া ছিল... আমারে দেইখ্যা ছুইট্ট্যা নিচে আইসা প্রায় টাইন্না উপরে লইয়া যায় আর কি। উপরে গিয়া দেখি আধো অন্ধকার আধো আলোতে বুদ্ধদেব দাড়াইয়্যা -দাড়াইয়্যা ঘুমাইতাসেন। যাইহৌক, আমি অনেক ইনভেস্টিগেশানের পর (ক্যামেরা লাগানো আছে কিনা, ম্যাসাজ ঘরে আয়না আছে কিনা, কার স্পা , কে স্পা করবো এই সব আর কি) ম্যাসাজ করাইতে রাজি হওয়াতে হাসি খুশি মাইয়াগুলার দন্ত আরও বিকশিত হইলো। নাগামীজ মাইয়াটা (যারে আগে চীনা ভাবসিলাম) আমার হাঁটুর উপর পিয়ানো বাজাইতে বাজাইতে কত গাল গল্প করলো - তারই মইধ্যে কথা কইতে কইতে একখানা মারাত্মক উক্তি বড়ই সহজ ভাবে কইয়া ফ্যালাইলো। আমারে কয় কিনা, "যখন আপনারে উপর থিকা দ্যাখলাম আপ্নে বড়ই ইয়ং লাগতাছিলেন কিন্তু এখন কাছ থিকা দেইখ্যা আর অত আপনারে ইয়ং লাগতাসে না তো... " আমি অন্ধকারের দোহাই দিতে গিয়াও দিলাম না।
আরো শোনেন :
সেই দিনই বিকালে আমাগো হরে রাম, ব্যাটারি -রিক্সা চালক, কাচু মাচু মুখ কইরা আমারে কৈল , "দিদি আপ্নে যাওন লাইগ্যা কোইসিলেন বটে কিন্তু রিক্সার ব্যাটারিতে চার্জ কম , আপনার ভার সৈহ্য করতি পারবো না, আপনারে আরেক দিন নিয়া যামু। "
এই ঘটনাগুলার পর খাওয়া-দাওয়া কমায় দিসি। ভগাদার তাগিদ - এখন ধরিত্রীর উপর বোঝা বাড়াইবার সময় গ্যাসে গিয়া .. বসন্তের ফুরফুরে হাওয়ার মতন শরীরটারে করতি লাইগবো । সে সময় আইস্যা গ্যাসে জানি। আপনাগো কী মত ? কী কন ?
Friday, May 13, 2022
লাছুরি
আমার জীবনে কিছু দুক্কু বরফের ড্যালার মতো জমা পড়ে আছে। আজ সেগুলির একটা লিস্টি তৈরী করব ঠিক করেছি :
দুক্কু নম্বর ১
এটা আমার ছোটবেলার দুক্কু
আমাকে কেউ গান গাইতে বললে আমার স্মৃতি শক্তি ও গলার আওয়াজ দুই ই লোপ পায়। "কী গাব আমি কী শোনাবো ..." ছাড়া আর কোনো গান আমার মনে পড়ে না। অথচ আমার চিরকালের স্বপ্ন আর ডি বর্মন 'আমাগো বাসার' সামনের রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে হারমোনিয়ামে আমার সা - রে - গা - মা - পা - ধা - নি - সা রেওয়াজ শুনে বাড়ীর কলিং বেল বাজিয়ে আমায় কোলে তুলে নিয়ে একেবারে বোম্বে পাড়ি দেবে। কিন্তু হলো না ..
দুক্কু নম্বর ২
ইটা আমার মেয়েবেলার দুক্কু
কত মেয়েরা কী সুন্দর ভাবে টান -টান করে মডেলের মতন শাড়ি পড়ে , মেক আপ করে , মিষ্টি দেখায় ...আমি শত চেষ্টা করেও পারি নিকো। ঠোঁটে লিপিস্টিক মাখলে কালো কালো ছোপ পড়ে। চোখে কাজল আঁকলে চোখের তলায় কালি আরো প্রবল গাঢ় দেখায়। ফাউন্ডেশনের গন্ধ আমার সহ্য হয় না - মাথা ধরে...গা ঘিন ঘিন করে তাই এই দুক্কুটাও রয়ে গেলো গো ...
দুক্কু নম্বর ৩
এটা আমার ধিরে ধিরে গড়ে ওঠা দুক্কু
ছোটবেলায় আমি ভীষণ লাজুক ছিলাম। কেউ কোনো বাজে কথা বললেও তার উত্তর দিতে পারতাম না - খুব খারাপ লাগতো। দিনের পর দিন সেই বিষ মাখা কথাগুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেত। আর আমি উত্তর না দিতে পেরে মনে মনে গুমরাতাম। তারপর উত্তর দিতে শিখলাম, রাগ করতে শিখলাম, রাগ দেখাতে শিখলাম এবং শেষ-মেষ রাগে ফেটে পড়তে শিখলাম। ক্রোধ শনি ... কে না জানে? রাগের চোটে মাঝে মধ্যেই মাথা দপদপাতে শুরু করতে লাগলো . তখন রাগ কমাবার পন্থা গুলো অবলম্বন করতে শুরু করলাম। পুরোপুরি ক্রোধ সম্বরণ করতে না পারলেও ভিসুভিয়াস হই না আর বা হতে হতে থেমে যাই. কিন্তু আমার দুক্কু হলো কিছু কিছু লোক দেখি কী সুন্দর রাগ চেপে রেখে মিষ্টি মিষ্টি করে পিচিয়ে পিচিয়ে কথা শোনাতে পারে তারপর কী অমোঘ কৌশলে ঝোপ বুঝে কোপটি মারে। আমি কেন তা পারিনা ? একদম পারিনা।
দুক্কু নম্বর ৪
এটা আমার মানে এক্কেবারে এক্সেপশনাল দুক্কু
আমি অহেতুক এবং অনিয়ন্ত্রিত অন্তরঙ্গতা বা ভাবপ্রবণতা হ্যান্ডেল করতে পারি না। টু মাচ ইমোশন একেবারে নো নো। মানে ওই ভাবের ফানুশ হয়ে গলে গলে - ও:! এটা আমার দু:খ না অক্ষমতা ঠিক বলা কঠিন। মানে আমাকে যদি কেউ প্রেম নিবেদন করে - ভাগ্যিস কোনোদিন কেউ করে নি - আমার যে কী প্রতিক্রিয়া হবে বা হতো বলা মুস্কিল। একবার এক পাড়ার ছেলে রাস্তায় আমাকে ,"আপনাকে অনেক কথা বলার আছে কিন্তু কেমন করে বলি বুঝতে পারছি না। .." বলাতে আমি " তাহলে আর বলে কাজ নেই " বলে হনহনিয়ে চলে গেছিলাম।
দুক্কু নম্বর ৫
এটা আমার বড়বেলার দুক্কু
আমি অনেক লেটে গাড়ী চালাতে শিখি। তার ও বেশ কিছু বছর পরে গাড়ী কিনি। যতদিনে গাড়ী কেনার মুরোদ হলো ততদিনে গাড়ি চালানো ভুলে গেছি আর কি। তারপর আবার শিখলাম। দু বার ই ড্রাইভিং স্কুলের গাড়ীতে। ও গাড়ীতে কেউ চালানো শিখতে পারে না। কারণ কন্ট্রোল থাকে পাশে বসে থাকা ড্রাইভারের কাছে। তাই আবার শিখলাম - এবার নিজের গাড়ীতে। তিন মাসের ট্রেনিং ছ মাসে গড়ালো। যিনি শেখাতেন তিনি টেনশনে টেনশনে বিড়ি ফুঁকে ফুঁকে গাড়ীতে বিড়ির এমন গন্ধ করে ফেললেন যে গাড়ীতে বসা দায়। এক হরিয়ানার ড্রাইভার আমাকে শেখাতে এসে রেগে-মেগে বলেছিলো ,"ম্যাডাম আপনি সব জানেন কিন্তু রাস্তায় বেরিয়ে কিছুই করেন না" - ম্যাডাম করবেন কী করে ম্যাডাম তো রাস্তায় নেবে ভয়ের চোটে বোধশক্তিরহিত হয়ে যান । আজকালকার ছোট্ট ছোট্ট মেয়েদের দেখি ততোধিক ছোট্ট ছোট্ট জামা পড়ে বিশাল গাড়ী নিয়ে ভোঁ ভোঁ করে চালিয়ে যাচ্ছে। দেখে হিংসে হয়।
দুক্কু নম্বর ৬
এটা আমার বুড়োবেলার দুক্কু
এই দুক্কু এমন দুক্কু "বোঝে কে আন জনে সজনি আমি বুঝি মরেছি মনে মনে " - না কাব্যি করার কিছু নেই। তবে এটা ঠিক যে এই দুক্কু নিয়েই আমি গত হব। আমি কনজেনিটালি ওভারওয়েট। ছোট্টবেলায় আমায় কেউ কোলে নিতে পারতো না। এখানে ছবি দিতে পারতাম - থাক। স্কুল ও কলেজ এবং পরবর্তি চাকুরী জীবনে আমি তন্বি হিসেবে খ্যাত ছিলাম। তিরিশ পেরিয়ে সেই যে খেতাব হারালাম এখন ওইয়িং মেশিনে পা রাখতে ভয় হয় যদি ভেঙে যায় - লজ্জা . লজ্জা। তবে একবার ডায়েট করে ১৫ কিলো ওজন কমিয়ে ছিলাম। পাড়া প্রতিবেশীরা চিন্তিত স্বরে জিজ্ঞেস করতো , "তুমি কী অসুস্থ ?" তারপর শরীর এমন খারাপ হলো - গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট বললেন "ডায়েট করে কাম নাই। নর্মাল খাবারে ফিরে আসেন"। আর আমি সেই যে ফিরলাম আর যাওয়া নাই। তবে আমার এজেন্ডা না খেয়ে মরার নয় - . আমি খেয়ে বাঁচতে এবং মরতে চাই. - আই হোপ ভগাদা আমার এই ইচ্ছে টুকুর মান রাখবেন।
যাক অনেক দুক্কের কথা ঢাক পিটিয়ে বললাম .
তবে এটা জরুরি ছিল নয়তো আমার ববম হাজামের মতো অবস্থা হচ্ছিলো। পেট ফুলে ঢোল।
বয়সটাও এমন .. হঠাৎ করে টেঁসে গেলে ভ্রাম্যমান পেত্নী হয়ে "কাকে বলি...কাকে বলি " করতে করতে মর্তলোকে ঘুরে বেড়াব আর যার তার কানে ফিসফিসাব।
তাই আর কি লিখে রেখে গেলুম
হালুম এন্ড হুলুম।
Wednesday, April 20, 2022
দিশারী
আমার আবার দিক্ভ্রমের বাতিক আছে।
এই একটি কারণেই আমি গাড়ী ড্রাইভ করি না বললে ভুল হবে তবে এটা অনেক গুলো কারণের মধ্যে একটা । যেহেতু আমার চলন্ত যেকোনো বাহনে একাগ্রতার অভাব হয় সেহেতু দিক ভুল করা ও যে অসম্ভব নয় তাও নিশ্চিত। এই অদ্ভুত ব্যারামে অনেক ভোগান্তি আমার হয়েছে। কিছু কিছু ঘটনা বলি -
১
বাড়ীর কাছের গলিতে ভুল করে ঢুকে পড়ে ঘুরপাক খেয়েছি বহুবার। বহুত রাস্তা ভুল করেছি। গলত টার্ন নিয়েছি। আপনজনদের হাঁসি ঠাট্টার খোরাক হয়েছি।
একবার অটোতে বসে ডান দিক বলতে বাঁ দিক বলে ফেলেছিলাম। অটো চালক রাগতঃ স্বরে আমায় নিজের ডান দিক বাঁ দিক ঠিক করে নিয়ে তারপর তাকে ডাইরেকশন দিতে বলেছিল ।
২
একবার রিক্সা করে বাড়ী ফিরছি হঠাৎ মাথাটা গড়বড় করে বসলো। তখন আমি পশ্চিম বিহারে থাকি। এই এলাকার সবচেয়ে বড় মার্কেট জোয়ালাহেড়ী থেকে সোজা নাক বরাবর গেলেই জী -এচ ১৪ ব্লকে আমার বাসা ... কিন্তু কেন জানিনা সব গুবলেট হয়ে গেলো। তখন ভর দুপুর। রিকশাওয়ালাকে খুব ঘাবড়ে গিয়ে বললাম ভাই আমার বাড়ীটা তো এখানেই ছিল। কোথায় চলে গেলো জানিনা। বিহারী রিকশাচালক রসিক ছিল, বললে "সারা দিন পড়ে আছে, খুঁজে নিন। " ভাব ..
৩
তবে তৃতীয় ঘটনাটি মারাত্মক হয়েছিল। ওষুধের দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে রাস্তায় নেমে ছাই রঙা ওয়াগন আর দেখে দরজা খুলে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসেই হুকুম দিলাম, "চল "...গাড়ী স্টার্ট দিচ্ছে না দেখে পাশে তাকিয়ে দেখি একটি গোল পানা অচেনা মুখ - শ্যামল বরণ , একজোড়া হৃষ্টপুষ্ট গোঁফ আর বড় বড় বিস্ফারিত চোখ। বিস্ফারিত বলবো না - বিস্মিত , অভিভূত , রোমাঞ্চিত - সব কিছু মেলানো সেই লোম খাঁড়া করা দৃষ্টি কী বলবো আর !! আমি সেকেন্ডের মধ্যে বাইরে।
আর একটি ছাই রঙা ওয়াগন আর পিছনে দাঁড়ানো দেখে বুঝলাম কোথায় গন্ডগোলটা করেছি। এর পর থেকে নিজের গাড়ীতে বসার আগে গাড়ীর নম্বর চেক করার অভ্যাস করেছি। কিন্তু নম্বরেও যদি গোল করি তাহলে আর কী কী পন্থা আছে এই ব্যারাম থেকে মুক্তি পাওয়ার ভাবতে হবে..
হ্যাঁ ..আরেকটা কথা
যেই অচেনা ভদ্রলোকের গাড়ীতে বসে পরম আত্ম-বিশ্বাসের সঙ্গে গাড়ী চালানোর হুকুম দিয়েছিলাম তাঁর স্ত্রী গাড়ীর কাছাকাছি ছিলেন কিনা জানিনা। একজন আজনবি মহিলাকে গাড়ীতে বসে কিছুক্ষন পরে ছিটকে বেরিয়ে আসতে দেখে তাঁদের বৈবাহিক জীবনে পরবর্তীকালে কোনো গোলযোগ বেঁধেছিলো কিনা সেটা জানার ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও জানবার কোনো সুযোগ বা উপায় হয়নি ।
হবে কী করে ? ভদ্রলোককে আরেকবার পথে-বিপথে দেখে চিনতেই পারবো না। তবে হ্যাঁ। .ওনার সেই অবিশ্বাস্য ভরা কেতো -কেতো চাহনি জীবনে ভুলবো না....... ... সেটা ঠীক।
Monday, April 18, 2022
বয়:ধর্ম
Tuesday, April 05, 2022
অপরাহ্নে
যাদের দুপুরে নাক ডাকিয়ে ঘুমোবার ব্যারাম আছে এই লেখাটি তাদের জন্যে ..
শিতের দুপুর
ঘুমের আবেশ
"লেপের আদরে "
সন্ধ্যে নামে নি:ঝুম সুর
বসন্তের দিন
কোকিলের তান
"সুবাস শয়ান"
অলস রঙ্গীন
তপনের তাপ
শীতল বাতাসে
আধো আঁধারে
স্বপ্নের ঝাঁপ
হেমন্ত রাগ
মেঘের পালকে
স্নিগ্ধ আমেজ
আকাশের নীল
শুভ্র সুনীল
ঝিরঝিরে হাওয়া
হুতাশের হাঁক
আবার পরশ
হিমের অবশ
করা সেই দিন
স্বপ্ন বিহীন
অপরাহ্নের কত না রূপ