Friday, October 12, 2018

পথে যেতে যেতে


গত দশ বছর ধরে এই একই পথে রোজ যাতায়াত করছি তবুও কেন জানিনা দেখতে পাইনি। দেখা উচিত ছিল বলবো না তবে না দেখাটা আজব ঠেকছে বটে।  কীরকম করে যে মিস করলাম তাই ভাবছি। ন্যাশনাল সাইন্স সেন্টারের পেল্লায় বিল্ডিং এর মাথায় ডাইনোসোরাসের বিশাল প্রতিকৃতিটা। সবুজ রঙের।  আমার জুওলজির  জ্ঞান কম. তাই  এগজ্যাক্ট স্পিসিটা  বলতে পারবো না. তবে মনে হয় টেরোড্যাকটাইল হলেও হতে পারে।  




আসল কথা হলো - কতো মিলিয়ন বৎসর পূর্বে এই সরীসৃপ সারা পৃথিবী দাপিয়ে বেরিয়েছে। মানুষ তখন কোথায় ? হয়তো ভগবান মানুষের তখনো কল্পনা ও করেননি। কিন্তু আজ এই বিশালকায় প্রাণী ধরণী থেকে সমূলে নিশ্চিহ্ন।  মানুষ কী এই ছোট কথাটা মনে রেখেছে ?

আজ মানুষ তাঁর  কৃতিত্বের গর্বে , বুদ্ধির ঐশ্বর্যে , শারীরিক ও মানসিক বলের দম্ভে ধরা কে সরা জ্ঞান করছে - যুদ্ধ বাঁধিয়ে সোল্লাসে নাচছে , একে  অন্যকে পায়ের নিচে কুচলে ফেলে আনন্দে লাফাচ্ছে একে  অন্যের সমূহ ক্ষতি করে স্বাভিমানে ফেঁটে  পড়ছে।  এরা  কী ডাইনোসরের কাহিনী ভুলে গেছে না মনে রাখা প্রয়োজন মনে করে না ?





Monday, March 19, 2018

রাতের ডায়েরী


অনেক দিন পর লিখতে বসলাম। এখন রাত সাড়ে নটা।সাধারনতঃ, এই সময় খেয়ে-দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি বা শুয়ে শুয়ে মোবাইলে নেটফ্লিক্সে একটা আধটা সিনেমা দেখি। আগে বই পড়তে-পড়তে ঘুমোতাম। এখন বই পড়াটা সিনেমা দেখা দিয়ে রিপ্লেস হয়ে গেছে। কিন্তু মনের  কোনো একটা খাঁজে খুসখুসানি লেগে থাকে। এই যে কি করছি...বই না পড়ে সিনেমা দেখছি। এটা একটা অহেতুক ব্যামো। জামানা পালটে গেছে। এখন পড়ার চাইতে দেখার ঝোঁক বেশী। এই সামান্য ব্যাপারটা মেনে নিতে পারলেই হল কিন্তু তা হবার যো নেই। মনের অবান্তর কিছু ন্যাকামো আছে। আর সেই ন্যাকামোগুলোতে কান দেওয়ার বিশ্রী অভ্যাসকে কী বলবেন?

***

অনেক দিন খবর কাগজ পড়াই হয় না। এটা আরেকটা আফসোস। সামনের ঘরের টেবিলের উপর কাগজগুলো স্তুপাক্রীত হচ্ছে। রোজ অফিস ফেরত কাগজের পাহাড় দেখি আর ভাবি আজ সব পড়ে ফেলব। আর পড়া...খাওয়া হয়ে গেলেই হয় ঘুম নয় মোবাইল...এ এক অন্য ধরণের আসক্তি।আফসোস করে লাভ নেই।

***

গত শুক্রবার ব্লকের সামনে গ্যাংগওয়ার হয়ে গেল।টুল্লু গ্যাং আর গিল্লু গ্যাং। বাইকে করে মাঝ দিনে এক গ্যাঙ্গের দুটি ছেলে শত্রু গ্যাঙ্গের দুটি ছেলে কে গুলি করে মারল। প্রথমটি স্পট ডেড দ্বিতীয় ছেলেটা পালিয়ে বাঁচল। আমরা জাতে উঠলাম।আজ অবধি যা অনুরাগ কশ্যপের ‘গ্যাং অফ ওয়াসেপুরে’ দেখেছিলাম তা বাড়ীর সামনে ঘটে গেল। শুধু ফারাক এই যে গুলি ছোঁড়াছুঁড়িতে পান বিক্রি করত যে তেইশ বছরের ইনোসেন্ট ছেলেটা প্রাণ হারালো। রোমাঞ্চিত হওয়ার কারণ বটে।

***

অঙ্কে মিলছে না অনেক কিছুই। জীবনের অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। একটা ছকে জীবনটাকে ফেলার চেষ্টা মাঠে মারা গেল। “কিছুই তো হল না সেই সব...সেই সব...”।