অনেক দিন পর লিখতে
বসলাম। এখন রাত সাড়ে নটা।সাধারনতঃ, এই সময় খেয়ে-দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি বা শুয়ে শুয়ে
মোবাইলে নেটফ্লিক্সে একটা আধটা সিনেমা দেখি। আগে বই পড়তে-পড়তে ঘুমোতাম। এখন বই
পড়াটা সিনেমা দেখা দিয়ে রিপ্লেস হয়ে গেছে। কিন্তু মনের কোনো একটা খাঁজে খুসখুসানি লেগে থাকে। এই যে কি
করছি...বই না পড়ে সিনেমা দেখছি। এটা একটা অহেতুক ব্যামো। জামানা পালটে গেছে। এখন
পড়ার চাইতে দেখার ঝোঁক বেশী। এই সামান্য ব্যাপারটা মেনে নিতে পারলেই হল কিন্তু তা
হবার যো নেই। মনের অবান্তর কিছু ন্যাকামো আছে। আর সেই ন্যাকামোগুলোতে কান দেওয়ার
বিশ্রী অভ্যাসকে কী বলবেন?
***
অনেক দিন খবর
কাগজ পড়াই হয় না। এটা আরেকটা আফসোস। সামনের ঘরের টেবিলের উপর কাগজগুলো স্তুপাক্রীত হচ্ছে। রোজ
অফিস ফেরত কাগজের পাহাড় দেখি আর ভাবি আজ সব পড়ে ফেলব। আর পড়া...খাওয়া হয়ে গেলেই হয়
ঘুম নয় মোবাইল...এ এক অন্য ধরণের আসক্তি।আফসোস করে লাভ নেই।
***
গত শুক্রবার
ব্লকের সামনে গ্যাংগওয়ার হয়ে গেল।টুল্লু গ্যাং আর গিল্লু গ্যাং। বাইকে করে মাঝ
দিনে এক গ্যাঙ্গের দুটি ছেলে শত্রু গ্যাঙ্গের দুটি ছেলে কে গুলি করে মারল। প্রথমটি
স্পট ডেড দ্বিতীয় ছেলেটা পালিয়ে বাঁচল। আমরা জাতে উঠলাম।আজ অবধি যা অনুরাগ কশ্যপের
‘গ্যাং অফ ওয়াসেপুরে’ দেখেছিলাম তা বাড়ীর সামনে ঘটে গেল। শুধু ফারাক এই যে গুলি
ছোঁড়াছুঁড়িতে পান বিক্রি করত যে তেইশ বছরের ইনোসেন্ট ছেলেটা প্রাণ হারালো।
রোমাঞ্চিত হওয়ার কারণ বটে।
***
অঙ্কে মিলছে না
অনেক কিছুই। জীবনের অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। একটা ছকে জীবনটাকে ফেলার
চেষ্টা মাঠে মারা গেল। “কিছুই তো হল না সেই সব...সেই সব...”।
পড়ে ভালো লাগলো। অনেক দিন পর আপনার লেখাটি নজরে পড়লো। সেটা নজরের দোষ, লেখার নয়। পড়া, নজর করা, সবের অভ্যাস-ই লোপ পাচ্ছে ধীরে ধীরে। আক্ষেপ করা ছাড়া কিছু করার নেই।
ReplyDeleteভালো থাকবেন।
Awesome
ReplyDelete