Saturday, April 28, 2012

নীলরতন বাবুর সেই প্রথম কেসটা



ভেবেছিলাম লিখবো না। 

কী হবে লিখে নীলরতন বাবুর গল্প ?

একজন ছাপোষা মানুষের আবার গল্প কী ?

কিন্তু উনি যে এতো তাড়াতাড়ি একজন প্রখন বিশ্লেষণকারী, ব্যতিক্রমী গোয়েন্দা হয়ে দাঁড়াবেন তা কে জানতো ?

রিটায়ার্ড লোক তবুও রুটিন মাফিক চলার অভ্যাস।

হ্যাঁ , আমি সেই নীলরতন বাবুর কথাই বলছি। 

সকাল ছটা  থেকে তাঁর দিন শুরু ..

এক কাপ চা  ...

তারপর নিত্যকর্ম   ...

আধ ঘন্টা খবর কাগজ নিয়ে নাড়াচাড়া  ...

একবার পাড়ায়  ঢু মারা ..

ফিরে  এসে মাসিমার হাতের তৈরি জলখাবার  ...

একটু জিরোনো  ...

তারপর ডায়েরী  লেখা ... কী লেখেন তা কেউ জানেনা - নট ইভেন  মাসিমা। 

তারপর দুপুরের ভোজন .. ..

নাক ডাকিয়ে ঘুমোনো মাস্ট - আড়াই ঘন্টা খানেক ..

বিকেলে পার্কে ঘোড়া এক ঘন্টা  ...

যত পাড়ার   রিটায়ার্ড জ্যাঠাদের আড্ডায় কুড়ি মিনিট মতো বসা  ...

বাড়ী ফিরে টিভির নিউজ  ...

কিছুক্ষন গল্পের  বই বা অন্য কোনো পত্রিকা পড়া   ...

নটার মধ্যে ডিনার  ...

শেষে আবার নাসিকা গর্জন  ...

এহেন আনইন্টারেস্টিং দৈনন্দিন জীবনে হঠাৎ ঝড় বয়ে গেলো। 

নীলরতন  বাবুর  পিসিমণি  দুগ্গাপুর থেকে আমের আচারের একটা বিশাল বোয়েম  পাঠিয়েছিলেন। 

নীলরতন  বাবুর  আবার  আচারের ভিষণ  শখ। 

তবে পিসিমণি  বলে দিয়েছিলেন যে  একটু আধটু বোয়েমে রোদ লাগানোর দরকার। 

মাসিমা তাই রোজ ছাতে বোয়েমটা সকাল বেলা রেখে দিতেন অরে ঠিক দুপুর তিনটে নাগাদ  বাড়ীর পুরোনো ঝি পদ্ম  ওটাকে তুলে রাখতো। 

গোল বাঁধলো এক সপ্তাহ বাদে যখন পদ্ম ছাতে গিয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে-কাঁদতে নিচে এসে জানালে যে বোয়েম উধাও।

এতো বড় বোয়েমটা কে নেবে ? কার এতো আচার খাওয়ার শখ.. আর যদি শখই হয়ে থাকে তাহলে বললেই তো হতো।  একটা ছোট শিশি ভোরে দিয়ে দেওয়া যেত...

পাড়ায় খবর  ছড়াতে দেরি লাগলো না। .

নীলরতন  বাবু তড়িঘড়ি  করে পাড়ায়  বেরিয়ে গেলেন। হাতে ডায়েরী। 

ফিরে এসে ঘন্টা দেড়েক  ডায়েরীতে  কী সব  লিখলেন। 

আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে বোয়েম  ফেরৎ। 

অবাক কান্ড 

কে নিয়েছিল সেটা  বড় কথা নয়....

কী করে পাওয়া গেলো এবং নীলরতন বাবু সেটা কী করে এত শীঘ্র ধরে ফেললেন সেটা শুনে সব্বাই তাজ্জব ..

যেদিন বোয়েম নীলরতন  বাবুর বাড়ীতে ডেলিভার হয়েছে সেদিন থেকে কার কার সঙ্গে কী কী বিষয়ে কোন কোন সময় কত  ঘন্টা ক মিনিট  এবং ক সেকেন্ড কথা হয়েছে  তার পুরো বিবরণ নীলরতন বাবুর ডায়েরীতে লিপিবদ্ধ। 

যার যার সঙ্গে আচারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো আন্ডারলাইন করা আছে উইথ টাইম। 

এর পর টাইম এনালিসিস করা হয়েছে। কিনি কত বেশি বা কত কম সময় এই বিষয় নিয়ে  কী কী কথা বা তর্ক বিতর্ক করেছেন।  যে কম করেছে তাঁর মনের কোনো আঁধার কোনে  আচারের  প্রতি আসক্তি লুক্কায়িত রয়েছে কিনা। সেটার সাইন্টিফিক ডিডাকশন করা হয়েছে। যে বেশি বলেছে তাঁর তো কথাই নেই.. এরপর এ বি সি এনালিসিস। .. হিউমান সাইকোলজি আরও কত কী......

মোদ্দা কথা এহেন চুলচেঁড়া বিশ্লেষণের পর বোয়েম যে পাওয়া যাবে না এই  বিষয়ে আর কোনো সন্দেহই থাকে না...

নিন্দুকেরাও নীলরতন  বাবুর এই  ডিটেল্ড ইনভেস্টিগেশনের তারিফ না করে থাকতে পারলেন না। 

এর কিছুদিন পর ...

পদ্ম আবার ছাত থেকে হাঁপাতে হাঁপাতে নিচে নেমে এসে  হাঁক  ছাড়ল , "অ বৌদি ! দাদা বাবুর যে আদ্দিকালের হলুদ রঙের কালো পাড় লুঙ্গি যার পিছনে দুটো ফুটা  ..সেটা আবার কে  কাপড় মেলার তার থিকা উঠায়ে নিসে"। 

নীলরতন  মাসিমা মাত্র পানের বাটাটা  নিয়ে শোবার ঘরে ঠান্ডা  মেঝেতে বসেছিলেন। পদ্মর কথা শুনে, "শুনলে গা .." বলে বসবার ঘরের দিকে ঘাড়টি  ঘোরালেন।

আর মাসিমার বলার সঙ্গে সঙ্গে নীলরতন  বাবু তক্তপোষ থেকে তড়াক করে লাফ মেরে টেবিলের উপরে রাখা ডায়েরীটা তুলে নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। 

পদ্ম ঘরে মাত্র পা দিয়েছিলো।  দাদাবাবুর তড়িৎ গতি দেখে সে কাঁধ ঝাকিয়ে " যাক আর চিন্তা নাই..তাড়াতাড়ি খোয়া জিনিস পাওয়া যাইব .." বলে হাঁপ ছাড়লো। ..

এরপর এক নতুন অধ্যায়ের  সূচনা। 

নীলরতন  বাবুর বাড়ির সামনে প্রায়:সই   লম্বা লাইন দেখা দিতে লাগলো।  কলিং বেল ঘন ঘন বাজতে শোনা যেতে লাগলো।

কারো মেনি 

কারো দুধের প্যাকেট 

কারো কাঁথা স্টিচের পাঞ্জাবির খুলে পড়ে যাওয়া বোতাম 

কারো ডাল বাটা 

মায়  পাশের বাড়ীর  ন্যাকা বৌদির শাড়ির সেফটি পিন 

কারো কিছু  ...আর কারো কিছু  ... হোয়াটেভার 

খোয়া গেলেই নীলরতন বাবু   ডায়েরী সমেত ব্যাস্ত হতে দেখা যেতে  লাগলেন । 

ক্রমশ: নীলরতন  বাবুর প্রখ্যাতি পাড়া  ছাড়িয়ে দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়তে লাগলো। 

একবার তো মশাই কোন ধ্যাধ্যারা গোবিন্দপুর থেকে এক মালদার আসামি এসে হাজির। 

বললেন, " আমি কৈবল্যদায়িনীপুর থেকে আসছি মশাইয়ের নাম ডাক শুনে...  "

ভদ্রলোকের বিশাল আমের বাগান থেকে কে বা কারা আম  চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে  - সে একটা দুটো আম  নয়,ভাই, কিলো-কিলো ..

নীলরতন বাবুকে তিনি অনুরোধ করলেন ওনার সঙ্গে কৈবল্যদায়িনীপুর যাওয়ার জন্য। 

কিন্তু যেতে  আর হলো না ... নীলরতন বাবু নিজের বসার  ঘরের তক্তপোষে বসেই ভদ্রলোককে চার ঘন্টা ধরে প্রশ্ন করে চোরটি কে এবং তাকে কী ভাবে ধরা যেতে পারে বলে দিলেন।  দুদিন পর এক ঝুড়ি সোনালি  রঙের আম  বাড়ীর দোর  গোড়ায় পৌঁছে যেতেই  পাড়া  শুদ্ধু লোক কনফার্মড হলো যে নীলরতন  বাবুর বিশ্লেষণ  একেবারে অন ডট  লেগেছে।

মোট কথা হলো নীলরতন  বাবুর একঘেঁয়ে রিটায়ার্ড লাইফ দিন কে দিন উত্তেজনাময় হয়ে উঠছে  এবং সাধারণ মানুষের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিস যা হারালে জীবন উথাল - পাথাল হয়ে যায় এবং থানা-পুলিশ, কোর্ট কাছারি করেও  কিছুই কাজে আসে না সেখানে নীলরতন  বাবুর বিনা পারিশ্রমিকে টাইম থিওরি , এ বি সি এনালিসিস  আর হিউমান সাইকোলজি আর  দেয়ার। 

জয় হউক। 
 

Sunday, April 22, 2012

কয়েকটা বই আর কিছু স্মৃতি

হঠাত সেদিন বইয়ের আলমারিতে হাথ পড়ে গেল ।ঘাটতে গিয়ে কিছু পুরানো বই বেরিয়ে পড়লো। হলদে পাতা প্রায় মুছে যাওয়া কালি আঙ্গুলের  ঘষা লাগলেই মনে হয় এই বুঝি ছিড়ে যাবে। কিন্তু আহ! সেই জীর্ণ পাতার কী মন মাতানো গন্ধ!!   বই গুলোতে হাত পড়তেই অনেক দিনের আগেকার, বলতে গেলে শৈশবের , কথা মনে পড়ে গেল। বাবু বলতেন ভালো বই পড়তে । তখন অবশ্য ভালো মন্দের পার্থক্য বুঝতাম না।যখন বুঝতে শিখলাম তখন বই  ঘাটার সময় বিরল ।



এইতো সেদিন কালী বাডিতে বই মেলা হয়ে গেল।বাংলা  বইয়ের জগত যে কত বদলে গেছে স্টলগুলোতে ঘুরতে ঘুরতে তাই উপলব্ধি করলাম । বিশ্ব ভারতীর একশত বত্সর পূর্ণ হওআতে এখন রবীন্দ্র রচনা সম্পাদনের অধিকার আর সীমিত নেই। ছোট বড সব সম্পাদকই বই ছাপার অধিকার রাখে।তাই অনেক নাম না জানা পাবলিশার্সের স্টল এও রবীন্দ্র রচনাবলীর সম্ভার। কিন্তু মনটা খুঁত খুঁত করছিল । কী যেন একটা ব্যপার নেই। বইয়ের আকার বদলে গেছে - ছোটো ছোটো লেখা , পাতলা পাতা -  সেই হলুদ মলাটের উপর লাল কালির বাঁকা হাতের লেখায় "রাজর্ষী" বা "বিচিত্র প্রবন্ধ" ভীষণ মিস করছিলাম। টের পেলাম বয়স হয়েছে । পরিবর্তন কে মেনে নেয়ার ক্ষমতা ক্রমে কমে আসছে।


আরও মনে পড়ে... বাংলা শেখার সেই দিনগুলি । আমার প্রথম বাংলা শেখা শিশু ভারতীতে - যাকে আজকের দিনে লোকে বলে প্লে স্কুল ।রেণু আন্টি  আমাদের  বাংলা পডাতেন । শ্যামলা রং , চোখে চশমা , হাঁসি হাঁসি মুখ , নরম মনের মানুষ , বাচ্চাদের ভালবাসতেন । বাচ্চারাও তাঁকে খুব ভালবাসত । সাদা সারি কালো পাড় - বোধহয়  অল্প  বয়সেই বিধবা হযেছিলেন।বিদ্যাসাগর  মহাশয়ের  "বর্ণ  পরিচয়" ওঁর কাছেই শেখা । 


তারপর সেন্ট থমাস স্কুল ...বাংলা শেখায় বাধা পড়লো ।


ক্লাস সেভেনে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে স্কুল বদল - লেডি আরউইন । বাবা বললেন বাংলা স্কুলে পড়লে মাতৃ ভাষাটা চোস্ত  হবে ।  তবে আমার বাংলা শেখা আসলে গল্পের বইয়ের মাধ্যমে । তার মজাই আলাদা । গল্পের রঙ্গীন জগত তো আছেই তার সঙ্গে সেই শতেক বার পড়া আধ ছেঁড়া পুরনো বইয়ের পাতার  মন মাতানো সোদা গন্ধ । তার  নেশা যে সব নেশা ছাপিয়ে পাগল  করে... তার আনন্দ  যে অনির্বচনীয় । যারা সেই আনন্দ  অনুভব  করেছেন  বা সেই নেশায়  ডুবেছেন... তাঁদের  কী আর  কোনো স্কুলের  পাঠ্যক্রমের  দরকার  আছে ? 


Saturday, April 21, 2012

A FEW LINES





একটা ছোটো খাতা
কিছু কালির আঁচর
আর একটা গল্প
ভাবছি লিখে ফেলি
জীবন আর কল্পনার জোট
জমবে ভালো
আর তোমার যদি পড়তে গিয়ে
মনে পড়ে যায়
এই ফাঁকে
কিছু বাশি পুরনো দিনের কথা...

A few yellowed pages
Drops of ink
A little story
Thought I'd pen
A heady mix of life & lies
A perfect blend
Perhaps it might 

Ring a bell...



Friday, April 20, 2012

অপরাধবোধজনিত



শ্রী  রামচন্দ্র  যখন অযোধ্যার সর্বজনস্বীকৃত্যানুসারে রাজারূপে প্রজার লালন পালনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন সীতা তখন বনবাসিনী।  রাজ দরবারে সিংহাসনে বিরাজমান রাজা রামচন্দ্র এক অশুভক্ষণে  সীতাকে অপমানিত করলে  সীতা  লজ্জায়  "ধরণী দ্বিধা  হও " বলে ধরিত্রীর ক্রোড়ে মাথা গুঁজেছিলেন।  শ্রী রাম  রাজা হয়ে প্রজাকে খুশি করতে গিয়ে স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন।  পরে তাঁর পরম অনুশোচনা হয়ে ছিল কিন্তু যা ঘটে গিয়েছিলো তা অপরিবর্তনীয়  - সীতা দেবী আর ফিরে আসেননি।  এই গপ্পো ঠাম্মার মুখে অসংখ্যবার শুনে মুখস্ত।  

ছোটবেলায় এটি গ ল আর প  ছিল... বড়বেলায় সুতোছেড়াঁ বিশ্লেষণ ক্ষমতার অধিকারিণী হয়ে  কনক্লুড করতে বাধ্য হচ্ছি যে পৃথিবীর উপর সহস্র কোটি বৎসর ধরে অনেক বোঝা  যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বীথি বনানী নদ - নালা -  নদি , পাহাড় -পর্বতমালা,  জন্তু জানোয়ার,  এমিবা, ব্যাকটিরিয়া , ভাইরাস ( কোরোনা ইনক্লুডেড) বিশালাকৃতি সব বাড়ী ঘর , অট্টালিকাসমূহ এবং নানা বিধ ভার বহুল মানব কৃতি  তো আছেই তার উপর মানুষ নামক সামাজিক জীবটির  তো  থামার নামই  নেই।  ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান গতিশীল এই জাতির সংখ্যা গণনা সরকারি বা বেসরকারি সূত্র ও সঠিক করতে পারবে কিনা সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।  

তাছাড়া মানুষের নিজস্ব অনেক পারমিউটেশন কম্বিনেশন আছে - রোগা , মোটা , লম্বা , বেঁটে, মানসিক ভারাক্রান্ত , শারীরিক ইয়ে   - কে কতখানি স্কোয়ার ফুট আঁকড়ে বেঁচে আছে এবং তাঁদের বংশ লতা-গুল্মের ন্যায় সমাজ ব্যবস্থা কে জড়িয়ে ধরে পল্লবায়িত হচ্ছে  সে আরেক স্ট্যাটিসটিক্স। 

আর বেশি দূর যাবো না - নিজেরই কথা বলি।  আমি পাঁচ ফুট দু ইঞ্চি এবং কম বেশি সাতাত্তর কেজি ।  পেটুক বললে নিজেকে ইন্সাল্ট করা হয়।  তার চাইতে বলি আমি একজন ফুডি।  আমাদের অফিসের ক্যান্টিনে সবসিডাইজড রেটে  ভালো খাবার ও স্ন্যাক্স  ইত্যাদি পাওয়া যায়।  বিশেষ ভাবে উল্লেখনীয় মঙ্গলবারে নাস্তায় আলু পুরি / আলু কচুরি আর বুধবারে অবশ্যম্ভাবী কুলচা ছোলা  যাকে না বলা একেবারেই যায় না।  এর ক্রেডিট অবশ্যই যায় আমাদের প্যান্ট্রির দেবেন্দ্রকে যে আপনাকে ব্রেকফাস্ট না খাইয়ে ছাড়বে না। 

২০২২ সালে ৫২ টি মঙ্গলবার  ও ৫২টি বুধবার পড়ছে। এই ইনফোটি গুগুল মাসি মারফৎ এবং  সেই হিসেবে আমি ৫২ প্লেট (১০৪ পিস ) আলু পুরি / আলু কচুরি  ও ৫২ প্লেট  (১০৪ পিস্) ছোলে কুলচা ( উইচ ইস ইকুয়াল  টু ২০৮ পিস ) এই বছর সাবড়াব যদি না কোনো মঙ্গল বা বুধ বার আমি অফিসে প্রেসেন্ট না থাকি । 

এই সব সাবড়ানোর ফলস্বরূপ  তার পর আমাকে কিয়ৎ ব্যক্তি গণ যদি নধরা (স্ত্রী লিঙ্গ অফ নধর ) বলিয়া আওয়াজ দেয় এবং আমি লজ্জায়, ক্ষোভে, অপমানে  জর্জরিত হইয়া  "ধরণী দ্বিধা হও " বলিয়া  কোঁকাইয়া  উঠি তাহলে  কি ধরণী সত্যই কী বুক ফাটাইয়া  আমাকে কোলে তুলিয়া  নিবেন না সেখানেও "নো ভ্যাকেন্সি"র  বোর্ড অলরেডি লাগানো হইয়া গিয়াছে ? 

না:  - ভিতরে না ঢুকে সেটার সম্বন্ধে একেবারে কনফার্মড নিউজ দিতে পারছি না।  

সরি ...