নখ খুঁটতে খুঁটতে বা কাঠের ফ্লোরে এক্কা দোক্কা খেলতে খেলতে যদি খুনের রহস্য সমাধান করা যায় তবে ব্যাপারটা কিরকম দাঁড়ায়?
বলছি...
পাহাড়ের কোলে নির্জন কুয়াসায় আচ্ছন্ন বনের মাঝে একটি ছিমছাম রিসর্ট। নাম অনন্যা। মিতা আর কুণালের স্বপ্নের প্রতিবিম্ব। এক্কেবারে নতুন না হলেও বেশি লোকের আনাগোনা নেই। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটে বিজ্ঞাপন দেখে লেখক অনিমেষ (অর্জুন চ্ক্রবর্তী) নিরিবিলি পরিবেশের সন্ধানে থ্রিলার লিখবেন বলে বুকিং করালেন। যাওয়ার পথে স্কুলের বন্ধু , বর্তমানে বর্ধমানের এস পি , কিঞ্জল দাশের সঙ্গে দ্যাখা। দুজনেই অনন্যায় ছুটি কাটাতে যাচ্ছে। কাকতালীয় আর কি!
একে একে অন্য অতিথিদের প্রবেশ। কুহেলী মিত্র ও দামিনী রায় (সোহিনী সরকার)। জিউ আর টনি কিন্তু আগের থেকেই রিসর্টে মজুদ। এস পি দাশের বুকিং টা প্রায় ক্যানসেল হতে হতে রয়ে গেল। আরেক অতিথি দীপক মালহোত্রা লাস্ট মিনিটে ঢপ দিল। আর কি ? বুকিং কনফার্ম।
তারপর যা হয়। রাতের অন্ধকারে বাতি চলে যাওয়া আর কুহেলী মিত্রর খুন ! তাও আবার সাতাশ দফা ছুরিকা ঘাতে। খুনি আনপ্রফেশানালি মার্ডার ওয়পেন্টা জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিতেই গোয়েন্দা দামিনী রায় সেটা টপ করে ক্যাচ করে ফেললো।
একে অন্যকে এই পরিস্থিতিতে সন্দেহ করবে না কখনো হয়? তার উপর রোমাঞ্চ ঘনীভূত করার জন্য পাহাড়ে ধ্বস নামা, মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকা, আলো না আসা (মাঝে মাঝে অবশ্য কোনো কোনো সিনে বেডসাইড ল্যাম্প জ্বলছিল) ,অন্ধকারে ছায়ার মতন ঘুরে বেড়ানো ( কেন বাবা?)। বেশ কয়েকটা এপিসোড তাই আরেকটা খুন হওয়া বাঞ্ছনীয়। এবার হলো মিতা। কি পুডিং না পায়েস এক চামুচ খেয়েই ধপাস করে সোফা থেকে উল্টে পড়ে শী পিকড পটল।
এই সময় হঠাৎ পুলিশ কোথেকে এসে হাজির। এতক্ষণ কিঞ্জল কতো হ্যালো হ্যালো করলো তখন তো বাপু এলে না। আর দামিনী রায় ডাকার সঙ্গে সঙ্গে ... ভেরি ব্যাড । যাই হোক পুলিশ কিন্তু দুটোর জায়গায় একটা বডিই উদ্ধার করতে পারল। মিতার বডি লোপাট। কি আর করা।
কিন্তু সেই রাতেই মিতার ভুত হঠাৎ আয়েগা আনেওয়ালা স্টাইলে গান ধরলো। ব্যাস আততায়ী বিস্ময়ে বিস্ফারিত নেত্রে কবুল করলো, "হাউ কম ইউ আর হিয়ার? আমি তো তোমাকে মারলাম কিছুক্ষণ আগে।" আর কোথায় যাবা? ক্যাচ কট কট।
আমার টুইটার বন্ধু দীপাঞ্জন বললেন এই ওয়েব সিরিজটা নাকি সাদা কালো পুরোনো ছবি "চুপি চুপি আসে" র ছায়া অবলম্বনে। দেখে ফেললাম। ভালো লাগলো। আবার ওই ছবিটি আগাথা কৃষ্টির থ্রি ব্লাইন্ড মাইস অবলম্বনে। তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো?
যাই হোক আমার বাজে রিভিউ লেখা স্বভাব তাই মাফ করবেন। যারা মার্ডার মিস্ট্রি পছন্দ করেন তারা দেখতে ছাড়বেন না । হইচইতে স্ট্রিম করছে।
তবে ইয়ে মানে আমার খুঁতখুঁতেমি আর কি। "শুধু দুটো প্রশ্ন কোনো কথা নয় " :
গোয়েন্দাদের সব সময় পাগলাটে দ্যাখায় কেনো? বেশি ইন্টেলিজেন্ট বলে। তার মানে আমি যে বিদ্যাধরী তাহলে কি আমিও একটু.... ধ্যাৎ নট পসিবল।
কিন্তু খুন হবার আগেই খুন হবে খুন হবে টাইপের শোকাশুকি করে রাতের অন্ধকারে সারা রিসর্টময় দামিনী রায় কেনো ঘোরাঘুরি করছিল বুঝলাম না।
আর যেই পুলিশ পাহাড়ি ধ্বসে আটকা পড়েছিল সেই পুলিশ দামিনী রায় সিটি মারতেই কি করে হাজির হলো?
এই রে তিনটে প্রশ্ন হয়ে গেল।
সরি।
আমার শমিক্ষা কে অগ্রাহ্য করে দেখে ফেলুন #হোমস্টেমার্ডার
আচ্ছা রিসর্টের নামটা তো ছিল অনন্যা তাহলে হোমস্টে....মানে কি করে?
ছবির ক্রেডিট আমার ভীষন ভালো আঁকিয়ে বান্ধবী অঙ্কিতা শর্মার
No comments:
Post a Comment