শ্রী রামচন্দ্র যখন অযোধ্যার সর্বজনস্বীকৃত্যানুসারে রাজারূপে প্রজার লালন পালনের ভার নিজের কাঁধে তুলে নিলেন সীতা তখন বনবাসিনী। রাজ দরবারে সিংহাসনে বিরাজমান রাজা রামচন্দ্র এক অশুভক্ষণে সীতাকে অপমানিত করলে সীতা লজ্জায় "ধরণী দ্বিধা হও " বলে ধরিত্রীর ক্রোড়ে মাথা গুঁজেছিলেন। শ্রী রাম রাজা হয়ে প্রজাকে খুশি করতে গিয়ে স্ত্রীকে হারিয়েছিলেন। পরে তাঁর পরম অনুশোচনা হয়ে ছিল কিন্তু যা ঘটে গিয়েছিলো তা অপরিবর্তনীয় - সীতা দেবী আর ফিরে আসেননি। এই গপ্পো ঠাম্মার মুখে অসংখ্যবার শুনে মুখস্ত।
ছোটবেলায় এটি গ ল আর প ছিল... বড়বেলায় সুতোছেড়াঁ বিশ্লেষণ ক্ষমতার অধিকারিণী হয়ে কনক্লুড করতে বাধ্য হচ্ছি যে পৃথিবীর উপর সহস্র কোটি বৎসর ধরে অনেক বোঝা যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বীথি বনানী নদ - নালা - নদি , পাহাড় -পর্বতমালা, জন্তু জানোয়ার, এমিবা, ব্যাকটিরিয়া , ভাইরাস ( কোরোনা ইনক্লুডেড) বিশালাকৃতি সব বাড়ী ঘর , অট্টালিকাসমূহ এবং নানা বিধ ভার বহুল মানব কৃতি তো আছেই তার উপর মানুষ নামক সামাজিক জীবটির তো থামার নামই নেই। ক্রমাগত ক্রমবর্ধমান গতিশীল এই জাতির সংখ্যা গণনা সরকারি বা বেসরকারি সূত্র ও সঠিক করতে পারবে কিনা সেটাও একটা বড় প্রশ্ন।
তাছাড়া মানুষের নিজস্ব অনেক পারমিউটেশন কম্বিনেশন আছে - রোগা , মোটা , লম্বা , বেঁটে, মানসিক ভারাক্রান্ত , শারীরিক ইয়ে - কে কতখানি স্কোয়ার ফুট আঁকড়ে বেঁচে আছে এবং তাঁদের বংশ লতা-গুল্মের ন্যায় সমাজ ব্যবস্থা কে জড়িয়ে ধরে পল্লবায়িত হচ্ছে সে আরেক স্ট্যাটিসটিক্স।
আর বেশি দূর যাবো না - নিজেরই কথা বলি। আমি পাঁচ ফুট দু ইঞ্চি এবং কম বেশি সাতাত্তর কেজি । পেটুক বললে নিজেকে ইন্সাল্ট করা হয়। তার চাইতে বলি আমি একজন ফুডি। আমাদের অফিসের ক্যান্টিনে সবসিডাইজড রেটে ভালো খাবার ও স্ন্যাক্স ইত্যাদি পাওয়া যায়। বিশেষ ভাবে উল্লেখনীয় মঙ্গলবারে নাস্তায় আলু পুরি / আলু কচুরি আর বুধবারে অবশ্যম্ভাবী কুলচা ছোলা যাকে না বলা একেবারেই যায় না। এর ক্রেডিট অবশ্যই যায় আমাদের প্যান্ট্রির দেবেন্দ্রকে যে আপনাকে ব্রেকফাস্ট না খাইয়ে ছাড়বে না।
২০২২ সালে ৫২ টি মঙ্গলবার ও ৫২টি বুধবার পড়ছে। এই ইনফোটি গুগুল মাসি মারফৎ এবং সেই হিসেবে আমি ৫২ প্লেট (১০৪ পিস ) আলু পুরি / আলু কচুরি ও ৫২ প্লেট (১০৪ পিস্) ছোলে কুলচা ( উইচ ইস ইকুয়াল টু ২০৮ পিস ) এই বছর সাবড়াব যদি না কোনো মঙ্গল বা বুধ বার আমি অফিসে প্রেসেন্ট না থাকি ।
এই সব সাবড়ানোর ফলস্বরূপ তার পর আমাকে কিয়ৎ ব্যক্তি গণ যদি নধরা (স্ত্রী লিঙ্গ অফ নধর ) বলিয়া আওয়াজ দেয় এবং আমি লজ্জায়, ক্ষোভে, অপমানে জর্জরিত হইয়া "ধরণী দ্বিধা হও " বলিয়া কোঁকাইয়া উঠি তাহলে কি ধরণী সত্যই কী বুক ফাটাইয়া আমাকে কোলে তুলিয়া নিবেন না সেখানেও "নো ভ্যাকেন্সি"র বোর্ড অলরেডি লাগানো হইয়া গিয়াছে ?
না: - ভিতরে না ঢুকে সেটার সম্বন্ধে একেবারে কনফার্মড নিউজ দিতে পারছি না।
সরি ...
No comments:
Post a Comment