মিকিমোটো নেকলেস
দিগন্ত দেব কলেজে বাংলার অধ্যাপক আবার শখের গোয়েন্দা ও বটে। ওঁর বাল্যবন্ধু প্রণয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত।
ধনী ব্যবসায়ী অখিল টুন্ডার স্ত্রী প্রীতি টুন্ডার মিকিমোটো নেকলেস যখন হোটেল মেরিনায় চুরি যায় দিগন্ত দেব ওরফে দিনু টিকটিকির খুব ইচ্ছে হয় কেস্ টা তলিয়ে দেখার। কিন্তু প্রণয় অনুরোধ করে দিগন্ত কে আরেকটা কেসে তাঁকে সাহায্য করতে। নিলয় সরকার , একজন মধ্যবিত্ত, শান্তিপ্রিয় ব্যাংকার, প্রায় কিছুদিন যাবৎ এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছেন। ওঁর সন্দেহ কেউ বা কারা ওঁকে দিন রাত ফলো করছে। কিন্তু কেন ?
কথায় কথায় যখন দিগন্ত জানতে পারে যে নিলয় পরিবার সমেত হোটেল মেরিনায় চিলড্রেনস ডে উপলক্ষে সেইদিন উপস্থিত ছিল যেদিন প্রীতি টুন্ডার নেকলেস চুরি হয় তখন দুয়ে দুয়ে চার করতে দিগন্তর বেগ পেতে হয় না। দুটো কেস কি একই সুত্রে বাঁধা?
গবেষণাগারে গুপ্তচর
দিগন্তর দুর সম্পর্কের দাদা , বৈজ্ঞানিক ড: সন্দীপন মিত্র যখন দিগন্তের শরণাপন্ন হন তাঁর অফিস থেকে চুরি হয়ে যাওয়া একটি যুগান্তকারী ওষুধের গোপনীয় ফরমুলেশন রিপোর্ট খুঁজে বার করতে ও চোরটিকে ধরতে তখন তিনি কি জানতেন যে তাঁর সব চেয়ে কাছের মানুষগুলো সন্দেহের তালিকাভুক্ত হতে চলেছে?
বড় মার বাক্স
রেনে (রেনেসাঁ) ও বিটো (বিতান) রেনের মামা মামিমার সঙ্গে তাঁদের বীরভূমের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসায় ছুটি কাটাতে এসেছে। তবে এর পিছনে একটি নিগূঢ় কারণ আছে। রেনের মামা গ্রামের বাড়ি এলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ডাক্তার বলেছে এটা সিম্পল ফুড পয়জনিং নয় - মামা বাবুর শরীরে বিষাক্ত রসায়ন ( মারকিউরি বিষ ) পাওয়া গেছে। যার মানে কেউ বা কারা মামাবাবুকে পথ থেকে সরাতে চায়? কেন ? এটা কি শুধুই মামাবাবুর বিরাট পৈতৃক বাড়ি হাতানোর চেষ্টা ? না আর কিছু ?
দ্বিমুখী বুদ্ধ
অশীতিপর নীলিমা দেবী খুন হলেন । কিন্তু তিনি অতি সাবধানী মানুষ ছিলেন । তাঁর বাড়িতে কোনো অচেনা, অজানা ব্যক্তির প্রবেশ নিষেধ ছিল। তবে কে তাঁকে হত্যা করলো এবং কেন ? নীলিমা দেবীর লন্ডন বাসি পুত্র পিনাকী ঘোষ দিগন্তকে জানান যে তাঁদের বাড়িতে একটি জেড পাথরের দ্বিমুখী বুদ্ধ মূর্তি আছে যেটি তাঁর বাবাকে একটি তিব্বতী লামা গোপনে সুরক্ষিত রাখতে দিয়েছিলেন। তবে কি এই খুন সেই বুদ্ধমূর্তি হস্তগত করার জন্য ?
রোগী চাই জ্যান্ত
সারা কলকাতা শহর কাঁপিয়ে একের পর এক খুন হয়ে চলেছে। পুলিশের ধারণা এটি সিরিয়াল কিলিং। ডেপুটি কমিশনার সোমেন পালিত কে জয়েন্ট কমিশনার অনুপম সরখেল দায়িত্ব দিয়েছেন এই খুনীকে ধরার। খুনী অসম্ভব চালাক। কোনো ক্লু ছাড়ে না। তাহলে কিভাবে ইন্সপেক্টর পালিত এই সিরিয়াল কিলারকে ধরবে ?
আমরা বড় হয়েছি গল্প শুনতে শুনতে বা পড়তে পড়তে। ছোটবেলায় গল্পর বইই ছিল আমাদের একমাত্র মনোরঞ্জনের সাধন । তাই আজো এই বড়বেলায় গল্প, বিশেষ করে কিশোর সাহিত্য, আমাকে আকৃষ্ট করে।
আচ্ছা, আজও কি বাবা মা, মামা, মাসি পিশীদের মুখে গল্প শুনতে শুনতে তোমরা ঘুমোও?
No comments:
Post a Comment