Friday, November 01, 2024

পরিণীতা উইথ এ টুইস্ট

প্রথমতঃ আমি তোমাকে চাই....

না: হলো না।

প্রথমতঃ বাঙালিদের এই পিছনে পানে চেয়ে থাকা কবে যে শেষ হবে কেউ কি তা বলতে পারে ?

এই কিছু বছর অন্তর অন্তর সেই এক  প্রেমের কেচ্ছা !

এবার ওয়েব সিরিজ !

শরৎ বাবু সগ্য থেকে দেখতে দেখতে স্মিত হাসি হাসছেন আর গুনগুনাচ্ছেন, "তুম মুঝে ইয়ুন ভুলা না পাওগে... এ... এ"

হত্যি কি ?

না নিয়তির পরিহাস জানিয়া কপালে করাঘাত করিতেছেন ?

("এ যে দৃশ্য দেখি অন্য... এ যে জঘন্য.. ")

"এ্যাই এ্যাই! হেইডা তো আমি এমনে লিখি নাই! তুই ক্যাডা আমার শেখরের মুখে গান গুজনেওয়ালা ?"

শরৎ বাবুর এই ২০২৪ এর শরৎ কালের নিশার নির্মল আকাশে ভিরমি খাইবার কারণ একটাই - হইচই তে ব্যতিক্রমী পরিণীতা  !!!

শেখর ও ললিতার আফটার ব্রেকআপ রেলওয়ে স্টেশনে দ্যাখা।

তার আগে শেখরের প্ল্যাটফর্মে ধুতির কোঁচা সামলাতে সামলাতে "তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা " অত্যন্ত সুরেলা গলায় গাওয়া।

হুঁ হুঁ মোটেও লাগতাসিল না ললিতার জইন্য মন হু হা করতাসে। কার লাইগ্যা গাইতাসিলে গো? 

বিষন্ন প্রেমিক রোমান্টিক গান গাইবে না করুন রসে রসগোল্লার মতন হাবু ডুবু গান গাইবে গা ? 

সো প্রথমতঃ চয়েস অফ সংগ রংগ 

স্টেশন মাস্টার হিন্দুস্থানী। তার আবার খাইয়া দাইয়া কাম নাই শেখরের পিসনে ঘুর ঘুর ঘুর ঘুর। দ্দুত!!!

আবার পাকামী করে শেখর কে জানানা ওয়েটিং রুমের তালা খুলে বসানো।

কি না বর্ষার দিনে কেউ নাকি রেল যাত্রা করবে না। ভদ্রলোক ভুলে গেছেন এখন গ্লোবালাইজেশনের যুগে লোকে সাইক্লোনেও আইসল্যান্ড যাত্রা করে।

গল্পের গরু গাছে ভালো ভাবে চড়ছে.... চড়ুক।

ট্রেন এ্যাজ ইউজুয়াল লেট। কখন আসবে জানা নেই।

শেখর স্টেশনের বাইরে তেলে ভাজা খাচ্ছে। 

স্বদেশী গান শুনছে ।

এমন সময় ললিতার প্রবেশ .... এ্যা ক কে বা রে এ্য ক কা।

তারপর আর কি ? 

বাম্প ইন্টু ইচ আদার...

তার পর অনেক গুলো ফ্ল্যাশ ব্যাক...

যার মধ্যে ললিতার স্বদেশীদের প্রতি সফ্ট কর্নার ,  গিরীন কে ইমপ্রেস করতে অতুলপ্রসাদী গাওয়া, শেখরের সঙ্গে মালা বদল ইনক্লুডেড।

দ্বিতীয়ত: আমি তোমাকে একদম চাই না । 

হু ইজ দিস ললিতা? 

আমি না , হেই প্রশ্নটা লেখক স্বয়ং জিগাইতাসে। হ্যায়ে ও নিজের হিরোইন রে চিনতে পার্তাসে না। 

কি দুঃখ! কি দুঃখ!

এগেইন দ্বিতীয়ত লেখক ইজ হিমসেলফ কনফুজিয়াছেন যে এহেন পরিণীতা তিনি কোন সালে পুঁথিগত করিয়াছিলেন

তবে অদিতি রায় নাম্নী নির্দেশিকা তুরুপের টেক্কা জোর সে টেবিলে মারলেন যখন ক্লাইম্যাক্স এ আমাগো শেখর কনফেসালো যে সে ভীতু বলিয়াই ললিতার সঙ্গে প্রেম ও গান্ধর্ব মতে বিবাহ কে পাপী সমাজের সামনে হৃদয় চীরকে বোল নেহি সেকা।

এই মারাত্মক কনফেসানের পর শরৎ বাবু সত্যিই ভিরমি খাকে মাটি মে গির কে ধড়ফড় কর কে চিল্লানে লাগা , " না ! না! এ হতে পারে না। এ হতে দেব না। আমার মেল চৌভিনিস্ট হিরো গুলার ইগো গুলাকে তছনছ কইরো না । শেখর তুমি স্লোগান ছাড় 

এ লড়াই বাঁচার লড়াই
এ লড়াই জিততে হবে... এ... এ... এ ..."

স্বর্গের সিঁড়ি ভেদ করে ব্যথায় বিধুর এক লেখকের বিদীর্ণ বক্ষ চীর করা কর্ণভেদী আর্তনাদ নির্দেশিকার কর্ণে... নো প্রবেশ করলো নি কো।

এবং এই বিদ্রোহী নোটে মানে অন দিস রেভলিউশনারী নোট পরিণীতার যবনিকা পতন ঘটিল।

তৃতীয়ত ... না: আর গেলাম না

এই রিভিউটির একমদ্বিতীয়ম পজিটিভ আসপেক্ট যে এই হৃদয় বিদারক , সো কল্ড আধুনিক ইন্টারপ্রিটেশন যুক্ত সিরিজ টি বাড়িতে বসে দুপুরে অর্ধ ঘুম ও অর্ধ জাগরিত অবস্থায় ট্যাকের পয়সা খরচ না করিয়া দেখিয়াছি। এবং ইহার জন্য আমার কোনো ক্রেডিট প্রাপ্য নহে কারণ যে নিজেকে দুঃখ দিয়ে আনন্দ পায় তার ভাগ্যে এমন যাতনা অনিবার্য।

প্লীজ এক্সকিউজ মী....