"Vanderloost -Speak Your Heart Out" is a vagrant and bizarre conglomerate of consequential and inconsequential moments, transient and stagnant thoughts, fickle and rigid perceptions, forgettable and not so forgettable anecdotes and experiences, day to day trivia, cornucopia of hard hitting realities and pristine imageries and most importantly people whom I think I know , whom I'd like to know and whom I do not want to know.
Friday, November 01, 2024
পরিণীতা উইথ এ টুইস্ট
Tuesday, September 17, 2024
মিতিনের সঙ্গে এক সন্ধ্যা
Saturday, August 24, 2024
শিকড়
Tuesday, July 23, 2024
হঠাৎ ..... কাল্পনিক!!
Saturday, April 20, 2024
হাঁটি হাঁটি পা পা
Friday, April 19, 2024
ভবিষ্যৎ বাণী
Wednesday, February 14, 2024
বীণাপাণি পুস্তকহস্তে দেবি নমস্তে
Monday, February 12, 2024
সিলুয়েট
সেকালে কোনো ফ্যান্সি ক্যামেরা ছিল না। ছিল না দামী মোবাইল। নিত্য নতুন টেকনোলজির চল হয়নি। সেই সময় আমার পিশেমশাইকে সাদামাটা ক্যামেরায়ই দারুন অ্যাঙ্গেলে সাদা কালো ছবি তুলতে দেখেছি। অ্যালবাম ভর্তি। পিশেমশাইয়ের ছিল ঘোরার শখ আর ছবি তোলার। ওঁর তোলা ছবি আমার কাছে খুব কম আছে। তাই ওনার কৃতি তুলে ধরতে পারলাম না।
আমাদের পরিবারে আর এক গুণী ব্যক্তিত্ব ছিলেন আমার সেজো মামা। তিনি খুব ভালো তবলা বাজাতেন তাই আমার মামাতো মাসতুতো ভাই বোনেরা ওনাকে ধিন মামা বলে ডাকতো। মা ডাকতেন দাদামনি বলে। তাই আমি আর দিদিও ওঁকে দাদমনি বলে ডাকতাম। দাদামনি যেকোনো গান শুনে ঝটপট হারমোনিয়ামে তুলে ফেলতে পারতেন। উনি ভালো খেলোয়াড় ও ছিলেন - ব্যাডমিন্টন, তাস, ক্যারাম ইত্যাদি। কিন্তু সবচেয়ে জবরদস্ত ছিল ওনার গল্প বলার টেকনিক - যাকে আজকালকার দিনে বলে আর্ট অফ্ স্টোরিটেলিং।
উনি আমাদের বাড়ি আসলেই ওনাকে আমরা ছেঁকে ধরতাম গল্প শোনানোর জন্য। ওনার মুখেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক লেখক লেখিকাদের গল্প শোনার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। হয়তো ওনার কাছ থেকেই গল্প শুনতে শুনতে গল্প লেখার বা বলার নেশা অজান্তেই আমায় বশ করেছিল । ফ্রেঞ্চ লেখক মোপাসার লেখা প্রচুর ছোট গল্প ওনার মুখেই শোনা। গল্পের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর জায়গাটিতে উনি ইচ্ছে করে ব্রেক নিতেন আমাদের উত্তেজনা ও গল্পের সেই মোড়টির পরে কি হবে জানার প্রবল ইচ্ছেটিকে প্রবলতর করার জন্য। সিগারেটে একটি সুখটান দিতে দিতে ফরমায়েশ করতেন এক কাপ চায়ের। যতক্ষণ চা না আসত ততক্ষণ গল্পে বিরতি আর সেই মুহুর্তে আমাদের উদগ্রীবতা চরম পর্যায়ে পরিণত হতো । সে কি এক্সাইটমেন্ট! আধুনিক যুগে পী ভী আর, ইউ টিউব, ও টি টি তে অভ্যস্ত বাচ্চাদের অবশ্য আমাদের কেবল প্রাচীন রেডিও ব্যতীত অন্য কোনো মনোরঞ্জন ও এক্সপোজারের মাধ্যম না থাকার দরুন কথকের সামনে বসে রসিয়ে রসিয়ে তাঁর গল্প বলা ও আমাদের মুখ হা করে শোনার তাগিদ কল্পনা করা কঠিন।
দাদামনির আরেকটি হবি ছিল ফটোগ্রাফি।
তখনকার দিনে ভালো ফটোগ্রাফি কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। ছবি তুলতে গেলে ঠিক সময়, পর্যাপ্ত আলো, সঠিক অ্যাঙ্গেল ইত্যাদির খেয়াল রাখতে হতো। সেকেলে ক্যামেরার লেন্স অ্যাডজাস্টমেন্ট করাই ছিল বিরাট কসরত।
দাদামনির তোলা মা এবং মাসীর (দুজনেরই বিবাহের পূর্বে) এই ছবিটি আমার খুব প্রিয়। বাবা বলতেন এটা সিলুয়েট। খুব কঠিন ফটোগ্রাফি। এখানে ওনার কৃতি তুলে ধরলাম আপনাদের জন্য।
তবে দু:খের বিষয় পিসেমশাই ও দাদামনি দুজনেরই ব্যক্তিগত জীবন সুখের ছিল না। সে গল্প আরেকদিন।
ছবিটি একটি পুরোনো পারিবারিক অ্যালবাম থেকে নেওয়া। মেইনটেন্যান্স নেই তাই নষ্ট হতে চলেছে। কেমন ভাবে ছবিটিকে বাঁচিয়ে রাখা যায় ভাবছি। আপনাদের কোনো পদ্ধতি জানা থাকলে নিশ্চই কমেন্টে লিখে জানাবেন।
শুভ রাত্রি।
Tuesday, January 23, 2024
বসে আছি পথ চেয়ে
চুপচাপ ।
বাইরে প্রচন্ড ঠান্ডা।
কুয়াশায় ঘেরা।
ধোঁয়াটে।
কাঁচের জানালাটা মাঝে মাঝে জলের ধারায় ভিজে যাচ্ছে। যেন বৃষ্টির ধারা ঝরে পড়ছে। আসলে কুয়াশা জলের ধারায় পরিণত হচ্ছে । আর কিছুই নয়।
এইরকম আবহাওয়ায় হিটারের সামনে বসে ভুতের গল্প বা রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস বা টিভিতে এরকম ধরনের সিনেমা বা সিরিজ দেখার মরশুম।
কিন্তু কিছুই করছি না।
পায়ের মোজাটা ভিজে ভিজে লাগছে।
কেন?
আমি তো জলে যাইনি।
তবে?
ঝুঁকে দেখি একরাশ রক্ত।
পায়ের তলার দিকটা।
মোজা ভিজে গেছে।
না কোনো রক্তাক্ত খুনের সীনে পায়ের ছাপ ফেলে ( জুতো ছাড়া ?) আসিনি।
কাউকে রাগের বসে নিশুতি রাতে ঝোপ বুঝে কোপ মারিনি।
তবে?
চিল ব্লেন...
কনকনে ঠান্ডায় পায়ের আঙুলগুলি ফুলে চুলকুনি হয়। চুলকে চুলকে ফেটে রক্ত বেরোয়।
তারেই কয় চিল ব্লেন ।
ওই আর কি!
এই হাঁড় কাঁপানো জানুয়ারি মাসের শীতে বাড়িতে আটকে থেকে একটা রোমহর্ষক পরিস্থিতির সুচনা করলাম।
আর কি!!!🤪🤪
এখন একটু খানি রোদের ঝলক দেখা গেছে।
দেখা যাক কতক্ষন থাকে।
ঠান্ডা কমে কিনা।
তার সঙ্গে চিল ব্লেন । 🤞🤞
#বাংলাব্লগ #আজকেরডায়েরি #শীত #রক্তাক্তব্যাপার #রোমহর্ষক