Sunday, March 26, 2017

“সহজ পাঠ”



আমার বাংলা শেখা গল্পের বই পড়ে। ব্যাকরণ সম্বন্ধে আমার জ্ঞ্যান সীমিত। তবু ও বাংলায় লিখে যে সুখ তা ইংরাজি বা হিন্দিতে লিখে পাই না। না একটু ভুল বললাম। তিনটি ভাষার তিন রকম উপলব্ধি।


ছোটোবেলা থেকে বাংলা ও ইংরেজিতে অনবদ্দ্য ভাবে নানা রকমের বই পড়েছি – উপন্যাস, প্রবন্ধ, কবিতা, বিবিধ সাহিত্যিকের রচনাবলি আর সিলেবাসে যে সব পাঠ্যপুস্তক ছিল তাতো বটেই। হিন্দিতে পাঠ্য পুস্তক ছাড়া বিশেষ কিছু পড়া হয়নি। তবে হিন্দি গান শুনে-শুনে ভাষার সূক্ষ্ম আবেদনগুলি বোঝার চেষ্টা করেছি। হ্যাঁ! সত্যিই! গান ও যে সাহিত্যের একটা নিবিড় অঙ্গ সেটা আমরা প্রায়সই ভুলে যাই।


এখন অবশ্য আমার ব্লগার বন্ধু শ্রী জে মাথুরের লেখা হিন্দি পাল্প ফিকশনের অনেক রিভিউ পড়ে হিন্দি গল্পের বই পড়ার মনে ইচ্ছে জেগেছে। তবে যে কোনো ভাষা ‘ফীল’ না করতে পারলে সেই ভাষায় বই পড়ার আনন্দ নব্বুই শতাংশ কমে যায়।তাই ইচ্ছে করলে ও পড়ে কত খানি আনন্দ লাভ করব সেটা অনুমান সাপেক্ষ।


তবে তিনটে ভাষাতেই লেখালেখি করে দেখেছি নিজের মাতৃ ভাষায় লেখা সব চেয়ে স্বাছন্দে হয়।আসলে যেহেতু ভাবি বাংলায় তাই লিখতে গিয়ে ভাবার ভাষা অনুবাদ করতে হোঁচট খেতে হয় না যটা হয় ইংরেজি আর হিন্দিতে লিখতে।


তাই প্রাণের ভাষা মনের ভাষার আমাদের বাংলা ভাষা।



ঠীক কী না?